“পদ্মজা”
সেদিন শরৎ হেমন্তের সন্ধিক্ষনে নির্জন নিশীথে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় বিলের পদ্মের সঙ্গে ঘটে পূর্ণিমার চন্দ্রের প্রথম সাক্ষাৎ। হঠাৎ স্বচ্ছ জলে প্রতিবিম্বিত হয় কারো আবছায়া। কখনো তা বিশদ আভায় মোহময় করে তোলে চারপাশ — কখনো ঘোর অমাবস্যায় ছেয়ে যায় সমস্ত আকাশ!
আলোছাঁয়ার ঘোলাটে জাহানে বসবাস করা কৃষ্ণবর্ণের ঐন্দ্রজালিক চন্দ্রের জীবনে নির্মল, সুরূপা পদ্মর আকষ্মিক পদার্পণ কী পারবে অমানিশার সাথে সাথে চন্দ্রের অবশিষ্ট কলঙ্কও মুছে দিতে? নাকি সে অনুরাগের বাঁধনে শুকতারা হয়ে কলঙ্কিত চন্দ্রের কাছাকাছি থেকে যাবে আজন্ম!
“আমি পদ্মজা”
জ্যোৎস্নার আলোয় ভেসে যায় এক পবিত্র প্রেমের আখ্যান, সেই আলোর পাশেই লুকিয়ে থাকে অমাবস্যার কালো ছায়া। যেন শরতের শুভ্র মেঘের কোলে বিদ্যুতের ঝলক। দুটি প্রাণের সুরময় জাল – একটি পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, অন্যটি রাহুর গ্রাসে আচ্ছন্ন। এক নারীর চোখে স্বপ্নের স্বর্গ, আর তার প্রিয়তমের জীবনে নরকের দ্বার। যে ভূমিতে মৌসুমী ফুলের সৌরভ মেশে বিষাক্ত আগাছার নিঃশ্বাসে, সে ভূমিতে কেমন করে টিকে থাকে পবিত্র প্রেম? কে জিতবে এই যুদ্ধে – প্রভাতের আলো, নাকি রাত্রির ছায়া? একটি রহস্যময় বাঁধন, যেখানে প্রতিজ্ঞার প্রতিটি পাপড়িতে লুকিয়ে আছে ছলনার বিষ, প্রতিটি আলিঙ্গনে মিশে আছে মৃত্যুর স্পর্শ। দুটো আত্মার এই নৃত্য, একটি স্বর্গীয় সুরে বাঁধা, অন্যটি পাতালের তালে। মিলন-বিরহের এই ছলে, কোনটি সত্য, কোনটি ভ্রমজালে?
Reviews
There are no reviews yet.